ইলশেগুঁড়ি সাহিত্য পরিবার
সুস্থ সাহিত্য, শিল্প ও সংস্কৃতির প্রসারে লেখক ও পাঠকের মিলিত প্রচেষ্টায় গৌরবের এক দশক
ইলশেগুঁড়ি সাহিত্য পরিবার
সুস্থ সাহিত্য, শিল্প ও সংস্কৃতির প্রসারে লেখক ও পাঠকের মিলিত প্রচেষ্টায় গৌরবের এক দশক
ইলশেগুঁড়ি সাহিত্য পরিবারের এক দশক পূর্তিতে শুরু হলো ইলশেগুঁড়ি ওয়েবসাইটের পথচলা। এখানে এক ছাতার তলায় পাওয়া যাবে এই সাহিত্য পরিবারের সব কটি পত্রিকা ও প্রকাশন।
২০১৬-র ১৫ই আগস্ট যাত্রা শুরু করেছিল ইলশেগুঁড়ি, সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ মলয়ের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছিলেন ২৫ জন বন্ধু। তৈরি হয়েছিল ইলশেগুঁড়ি সাহিত্য পরিবার। আজ সেই সাহিত্য পরিবার আড়ে বহরে বেড়েছে অনেকটাই। সেদিন আমরা জানতাম না পত্রিকা কত দিন চলবে অথবা এটির সময়কাল কি হবে অর্থাৎ মাসিক না বার্ষিক নাকি ত্রৈমাসিক ইত্যাদি। আজ আমরা ১০ বছরে পদার্পণ করেছি। পত্রিকা বিগত ৯ বছরে নিয়মিত বছরে তিনটি করে সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে অর্থাৎ এটি চতুর্মাসিক পত্রিকা। ক্রমে ক্রমে এই পরিবার থেকে আত্মপ্রকাশ করেছে কবিতার নিজস্ব পত্রিকা কবিতাব্রত, ছোটদের নিজস্ব পত্রিকা কুঁড়ি এবং সাংস্কৃতিক সংবাদের খবরের কাগজ ইলশেগুঁড়ি বার্তা। পত্রিকা কেমন হয়েছে সে বিচার প্রিয় পাঠকদের হাতেই ছেড়ে দিলাম। আপাতত প্রথম সংখ্যার সম্পাদকীয়টি তুলে দিলাম, সেখানেই অল্প কথায় বলা আছে সবটুকু।
‘‘এককথায় কেউ বলবেন জীবন হল বেঁচে থাকা আবার অন্যজন বলবেন জীবন হল উপভোগ করা। কেউ বলতেই পারেন—প্রতিদিনের যাপনই জীবন। আমরা বলব—জীবনের অপর নাম সৃষ্টি। যতদিন গাছ ফুল দেয়, ততদিন সে জীবন্ত। যতদিন নদী জলে ভরা, কুল উপচানো, ততদিন সে জীবন্ত। ফুসফুস যতদিন বিশুদ্ধ রক্ত তৈরী করে, প্রাণী ততদিন জীবন্ত। শিল্প-সাহিত্য যতদিন সৃষ্টিশীল—ততদিন সে জীবন্ত। তাই আমরা সূচনা করলাম নতুন এক পথচলার, এই ক্ষুদ্র পত্রিকা—‘ইলশেগুঁড়ি’। ইলশেগুঁড়ি বেঁচে থাকবে তার সৃষ্টিশীলতার মধ্যে।
কেন ইলশেগুঁড়ি? আভিধানিক অর্থ বলছে টিপ টিপ বৃষ্টি। বৃষ্টিই যদি, তবে মুষলধারায় নয় কেন? কারণ, এটি ছোট্ট ক্ষুদ্র পত্রিকা বা আরোও সঠিক অর্থে ক্ষুদ্রতম পত্রিকা। সুতরাং সমস্ত বড় মাঝারি সুন্দর সুন্দর বাংলা পত্রিকাকে সম্মান জানিয়ে, প্রণিপাত করে টিপ টিপ করে ঝরতে শুরু করল আমাদের ইলশেগুঁড়ি, তোমাদের আঙিনায়। হে সমৃদ্ধ বাংলাভাষার পাঠককূল, একটু প্রশ্রয় দাও।
প্রথম সংখ্যার একটা ছোট্ট বিশেষত্ব আছে, সেটি হল, এই সংখ্যাটির সবকটি লেখার রচয়িতা সম্পাদক স্বয়ং। অলংকরন, অক্ষরবিন্যাসও করেছেন সম্পাদক নিজেই। সুতরাং প্রকৃত সূত্রপাত আগামী সংখ্যা থেকেই, পত্রিকা সমৃদ্ধ হবে। বহুজনের রচনায়, সম্পাদক থাকবেন অন্তরালে একনিষ্ঠ সেবক রূপে।’’
প্রিয় পাঠক, মতামত ও সমালোচনার অপেক্ষায় থাকর। অপেক্ষায় থাকব নতুন নতুন লেখকের জন্য।
ধন্যবাদ সবাইকে,
বিনীত
দেবব্রত ঘোষ মলয়
সম্পাদক
১ জানুয়ারী ২০২৫
উপদেষ্টা মণ্ডলী
রামচন্দ্র চৌধুরী, রতিকান্ত মালাকার, বিপুল রায়, বীরেশ লাহিড়ী
সম্পাদক
দেবব্রত ঘোষ মলয়
সম্পাদকীয় সদস্যবৃন্দ
সৃজন পাল, দেবাশীষ মুখার্জী, তুহিন কান্তি বিশ্বাস, স্বপন পোড়েল
সম্পাদকীয় সদস্যমণ্ডলী (প্রুফ)
শিখা ঘোষ, পূরবী পোড়েল, অর্পিতা সরকার মণিগ্রাম
সদস্য
ছবি ব্যানার্জী, সুব্রত ঘোষ, সত্যব্রত ঘোষ, রক্তিম (উজ্জ্বল) বোস, নির্মল সরকার, দোলন মিত্র বোস, চিন্ময় মণ্ডল, সমীরন ব্যানার্জী
সফটওয়্যার ডেভেলপার
কার্তিক পাল, প্রান্তর ঘোষ
প্রকাশক
দূর্বা ঘোষ
সত্বাধিকারী
ইলশেগুঁড়ি প্রকাশন
সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ মলয়