ইলশেগুঁড়ি ২৯তম সংখ্যা (শারদীয়া)
ইলশেগুঁড়ি ২৯তম সংখ্যা (শারদীয়া)
একটা আলোর কুঁচি
ভোরের জানলা দিয়ে আমার শোবার ঘরে ঢুকে
কিছু না বলেই ছড়িয়ে পড়ল আমার বিছানায়।
আমার বালিশের মখমল কভারে মাথা রেখে
খিলখিল করে হাসতে হাসতে বলল –
জানো, আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি।
ইস্! ভালোবাসা এতোই সোজা বুঝি!
ও বললে – তা তো জানি না!
তোমার গোলাপি মুখের ওপর হলুদ আলোয়
সোনালী বাতাস ঢেউ অলকে
তোমার কপাল জুড়ে ছোট্ট কাঁচপোকা টিপ
আমাকে, আমাকে ভালোবাসতে শিখিয়েছে।
বলো, ভালো না বেসে কি...!
হঠাৎ করে আমার আধভাঙা ঘুম
আমাকে জাগিয়ে তুলে খুঁজে ফেরে সেই আলোকে
এতো সেই, যাকে আমি আমার সবটুকু দিয়ে
আগলে রাখতে চাই।
আমার কান্নাভেজা দিনে তৃষ্ণার সুখ
ভালোবাসার জন্যে আমার বড্ড চেনা মুখ।
নরম ঘাসের আদর মেখে
যে আমার পায়ের নূপুর হয়ে বাজে
বৃথাই আমার ভুল হয়ে যায় সারাদিনের কাজে।
বলি তাকে – আমার একলা ঘরে স্বল্পবাসে
করলে আমায় লজ্জাহীনা!
অদ্ভুত সেই হলুদ আলোর বিন্দু কিনা
প্রথম যেদিন হারিয়ে গেছি আমার প্রিয় অমলতাসে!
তুমিই তো সেই, সকল বাধা তুচ্ছ করে
তোমার সাথে হারিয়ে যেতে এখন আমার
আর মানা নেই।
যেই বলেছি, অমনি আমার সারা শরীর
আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে নিয়ে ঠোঁট ছোঁয়ালো হৃৎকমলে
তারপরে তার আবেগ ভরে চালিয়ে খেলা
উধাও হলো, যে পথ ধরে এসেছিল
সেপথ দিয়ে ভাসিয়ে আমায় যাবার বেলায়
আদর করে কী হাসি তার নষ্ট বলে!
একলা আমি, একলা ছিলাম, একলা হলাম
ভুলের মাশুল গুনছি বসে কারণ অকারণ,
এরও পরে বলবে কি আর প্রেমে পড়া বারণ!