ইলশেগুঁড়ি ২৯তম সংখ্যা (শারদীয়া)
ইলশেগুঁড়ি ২৯তম সংখ্যা (শারদীয়া)
আজ ভগবান কথা বলছেন
আকাশ বাতাস দিয়ে তিনি জানান দিচ্ছেন,
কয়েকদিন পর তিনি বৃষ্টি পাঠাচ্ছেন।
অনেক দক্ষিণের থেকে উড়ে আসা হাওয়া
খেলা করবে তোমার কানের দুই পাশে
ভাড়ার খাঁচা থেকে বেরোনোর তাড়াহুড়ো
চশমার ওপারের চঞ্চল চোখ, যান্ত্রিক রথের অপেক্ষা।
পরম উপকূলের থেকে মহিসোপান,
বালুকণাকে চির চুম্বনের পরিচিতি দিয়ে
কতক নামে মহান মেদিনীর তিলক নিয়ে
প্রবেশিবে তুমি বাংলায়।
মাতলা নদী মাতলা হবে, রাঙা বধূর ভিজে শাড়ি
মিথ্যে রোদের আশায় খালি খালি তোমার দিকে দেখে
নাক সিঁটকোবে, আর সেই বোকা ছেলেটা,
হাঁ করে বৃষ্টি দেখবে...ক্ষমা করো!
তোমায় দেখবে।
বিকালের কালবৈশাখী অনেকটা রাগ করে;
ছেড়ে দেবে তোমায়, ভালোবাসার শহর কলকাতায়।
রাজপথ যেন সেদিন কষ্ট চেনে না
কত মাসের অপেক্ষা ছিল তোমার আগমন
তোমার মা, উমা ডাকে তোমায়।
তুমি সাক্ষী করে এসো, আমন ধানের মাঠগুলি।
অবুঝ মন বৃষ্টি দেখবে বলে, স্টেশনে রাত পাহারা দেয়,
লুকিয়ে তুমি কোন গহীনে, ভেসে বেড়াও তপ্ত নীলিমায়
আক্ষরিতার সঙ্গে তোমার মিল কোথায়?
বৃষ্টি তুমি মুক্ত পাখি, প্রাণকে বাঁধতে হয় না খাঁচায়।
তোমার পূর্ণতা তাই তো বৃষ্টি হয়ে জানান দিচ্ছে, বাবুইকে,
‘‘মহানগরীর কলতান তোমায় চোখে হারাচ্ছে’’
কোনো চিরন্তন বেদনার ওষুধ যেন, বৃষ্টির দুটি চোখ
নিশি আরো তিমির হবে,
দুর্নিবার ক্লান্তি, ঘুম ছেড়ে উঠে আসবে,
প্রভাতের সূর্য, ভালোবাসা ভরা উদ্দাম এটিনি
নিয়ে চলে যাবে, তোমার গন্ধে মাখা চিঠিগুলি।