ইলশেগুঁড়ি ২৯তম সংখ্যা (শারদীয়া)
ইলশেগুঁড়ি ২৯তম সংখ্যা (শারদীয়া)
একাকীত্ব।
সঙ্গবিহীন হিমেল শৈত্য,
ছায়া বড় করে বিষাদদৈত্য, কালোতে ঢাকবে বলে।
একাকীত্ব।
ভিড়ে চলা স্রোতবৈপরীত্য,
আয়নার সাথে নিজের দ্বিত্ব, কল্পনা দ্বার খোলে।
দুটো এক নয়।
বাধ্যত আর স্বেচ্ছা নির্বাসন,
আকুলিবিকুলি সঙ্গ চাইছে একটাতে মন,
অন্য মানসে চাইছে না হোক সঙ্গীর জ্বালাতন।
একটা একাকীত্বে জোর পড়ে একা’র ওপরে
অন্যটি একক-দ্যোতক,
ভিড় ছেড়ে বহু দূরে ঘোরে,
একটি বিষাদে খোঁজে নীরবতা ভাঙবার পথ,
অন্যটি স্তব্ধতা-প্রেমী, ভালোবাসে একার জগৎ।
একাকীত্ব।
নেই হয়ে যাওয়া বন্ধুবৃত্ত,
সময়ের কাছে যে উদ্বৃত্ত,
দিন কালো হয় রাতের মতো, রাত্রি চন্দ্রহীন,
একে সামলাও, কাছে টেনে নাও,
নয়তো হারাবে অচিরেই তাকে,
টলমল করে রুটিনের বাঁকে,
মরণ রেখেছে সেই বেচারাকে জীবনের কাছে ঋণ।
একাকীত্ব।
ঘড়িকাঁটা যার ক্রীত ভৃত্য,
সৃষ্টির সুখে মগ্ন চিত্ত,
প্রতি দিন যার স্বপ্নভাঁড়ার, রাত আলাদিন-জ্বিন,
তাকে একা ছাড়ো,
যাও আগে বাড়ো,
খামোখা ঘুরো না আনাচেকানাচে,
নিজের সঙ্গে সে তো ভালো আছে,
বাকি সকলের মতো মোটে নয় অন্যের পরাধীন।
একাকীত্ব।
একলা বিষাদ অথবা এককে বাঁচবার স্বাদ।
একখানা পথ কান্নায় ভরা, আরেক ভাবনাহীন।