ইলশেগুঁড়ি ২৯তম সংখ্যা (শারদীয়া)
ইলশেগুঁড়ি ২৯তম সংখ্যা (শারদীয়া)
না জানি, কেন রে আজি, সহসা নবীন প্রাণ মাতিয়া উঠিল।
‘‘ফুটিল শরতের শিউলি-মালতী, সৌরভ ছুটিল।
পরিমল লোভে অলি গুনগুনিয়ে আসিয়া জুটিল।’’
‘‘সকাল বেলা একটি ধানের শীষে, এক ফোঁটা শিশির বিন্দু।
পশিল সেথা প্রভাত রবির কর, ঘর হতে দু’পা এগিয়ে দেখিনু তাহারে।’’
যেন-উছলিয়া পড়িছে, রামধনুকের রং শিশির বিন্দুর পরে।
সেথা-বৃক্ষশাখে শিশির বিন্দু, ঝরে পড়ে টিনের চালার পরে।
পুকুরের জলে পাতিহাঁস, পানকৌড়ি-ডুব দিয়ে যায় বেলা, আহারের তরে।
সেথা-হিমেল হাওয়া দোল খেলে যায়, ধানের শীষের পরে।
আবার, মাকড়শা তার জাল বুনে যায়, ধানের আলের পরে।
সেথা, শরতের ছোঁয়ায় মুখরিত আকাশ, বাতাস, প্রাঙ্গন।
মাতিল রে ভুবন-নবীন হরষে, জাগিল রে ধরা আজি-শারদ প্রাতে।
ওরে, আজিকে কেহ রহিস’নে বন্দি ঘরে রে।
কোমল হৃদয় খানি আজি নাচিয়া উঠিল শারদ প্রাতে রে।
হেথা, ধরনী সাজিয়াছে আজি-ধনধান্যে,
পুষ্পে পল্লবে, করিতে বরণ গিরিরাজ দুহিতা রে।
ওরে, আজিকে কেহ রহিস’নে বন্দি ঘরে রে।