ইলশেগুঁড়ি ২৯তম সংখ্যা (শারদীয়া)
ইলশেগুঁড়ি ২৯তম সংখ্যা (শারদীয়া)
আমি যখন এলাম হেথা
কেউ ছিলনা ঘরে
রুক্ষ জমিন পাহাড় শিলা
ভরা ছিল গহ্বরে।
ধুলোয় ধোঁয়ায় আকাশ বাতাস
ছিল না তো কিছু
অঝোর ধারায় ঝরে জমে
ভরিয়ে ছিলাম নিচু।
গরম যত নিলাম শুষে
স্বচ্ছ হল ধরা
সৃষ্টি হল আকাশ বাতাস
ধরা দিল তারা।
শরীর আমার গরম তখন
দেহে জন্ম নিলো জীব
বাকি সবাই অচল অনড়
ধ্যানমগ্ন শিব।
ধীরে ধীরে সবাই এলো
জন্ম নিলে তুমি
আমায় ছেড়ে বেছে নিলে
শক্ত পোক্ত ভূমি।
নাচি আমি আনন্দেতে
ফিরি ভুবন ঘুরে
দুলি আমি ছন্দ তালে
কাছে হোক বা দূরে।
মেতে থাকি গোপন খেলায়
তোমরা কি তা জানো?
সূর্য রোষে যাই গুঁড়িয়ে
মিলি বায়ে ধুমও।
যাই যে ছুটে পাহাড় চূড়ায়
গড়ি জমে হিম
মনে ভাবো শুভ্র পাথর
প্রকাণ্ড কোন ভীম।
আবার আমি ভালবেসে
গলে নেমে আসি
ভরিয়ে ছুটি নদী নালা
ছল ছলিয়ে হাসি।
শুধু কী তাই হিম গড়ে যাই
রচি ধুমের জাল
আকাশ পথে ঘুরে বেড়াই
নেই ক্ষণ ও কাল।
মাথার উপর ঢাল হয়ে ছাই
করি অট্টহাসি
আগুন জ্বলে ভয়ও দেখাই
কড়কড়ি রাক্ষসী।
ঝরাই বাদল বাজিয়ে মাদল
শ্যামল ধরণী’ পরে
ভরিয়ে তুলি শষ্য ভুবন
আনন্দের এই ঘরে।
রাগে ফুঁসি কখন সখন
ভাসিয়ে মেটাই জ্বালা
এত করি আমায় তবু
কেন কর অবহেলা!
আমায় বিনে এই ধরণীর
জীবন হবে ফাঁকা
আমিই সবার জীবন
আমি অগ্রগতির চাকা।