ইলশেগুঁড়ি ২৯তম সংখ্যা (শারদীয়া)
ইলশেগুঁড়ি ২৯তম সংখ্যা (শারদীয়া)
ডোংরিয়া কোন্দ ভারতবর্ষের অতি প্রাচীন আদিবাসী গোষ্ঠীদের মধ্যে ডোংরিয়া কোন্দ অন্যতম। পশ্চিম ওড়িশার নিয়মগিরি পাহাড়ের কোল ঘেঁষে এদের বসবাস। বিস্তারিত পর্বতাঞ্চল, সমৃদ্ধ নানাবিধ ভেষজ গাছপালায়। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক পরিবেশ সত্যিই মন কেড়ে নেয়। মনহয় কোথায় যেন হারিয়ে গেলাম।
চলার পথ খুবই কঠিন। বলতে হলে বলাবাহুল্য কঠিন থেকে কঠিনতম। কিন্তু অচেনাকে চেনা আর অজানাকে জানার আগ্রহ চিরকালীন। তাই বেরিয়ে পড়েছিলেন অজানার আহ্বানে।
এই ভাবে চলতে চলতেই পৌঁছ গিয়েছিলেন ডোংরিয়াদের দোরগোড়ায়।
অতি সহজ সরল আদিবাসী হল এই ডোংরিয়া কোন্দরা। শিক্ষার প্রসার না থাকায় ওই পর্বতকে কেন্দ্র করেই ওদের যাবতীয় জীবনানন্দ। ওরা মনে করেন নিয়ম পাহাড়ই হলো ওদের রক্ষাকর্তা। তাই নিয়ম রাজাই হলেন ওদের ভগবান।
নিয়মগিরি পর্বতাঞ্চল পূর্বঘাট পর্বতের একটি অংশ বিশেষ। প্রকৃতি যেন প্রাণভরে সাজিয়ে তুলেছেন এই অঞ্চলের অসীম সংখ্যক উদ্ভিদ ও প্রাণীকূলকে। তেমনই মনুষ্য সমাজকেও।
আর্থসামাজিক উন্নয়নের দিক থেকে কোন্দরা অনেটাই পিছনের সারিতে। জঙ্গলই ওদের একমাত্র ভরসা। সামাজিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সবটাই জঙ্গলকে ঘিরেই।
এই ডোংরিয়া কোন্দের সন্ধান পেয়ে তাদের জীবন যাত্রার সাক্ষ্য প্রমাণ করেছেন অধ্যাপিকা সুপর্ণা সান্যাল মুখার্জি মহাশয়া। তিনি তার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হাওড়া সুপর্ণার কয়েকজন সদস্য নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন ডোংরিয়া কোন্দদের অন্দরমহলে।
এক নজিরবিহীন উল্লেখযোগ্য কাজের জন্য আমাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানাই মাননীয়া অধ্যাপিকাকে।
উল্লেখ্য, এই তথ্যচিত্রটির পাশাপাশি ডোংরিয়া কোন্দ নিয়ে একটি বই প্রকাশি করতে চলেছে হাওড়ার প্রকাশক ইলশেগুঁড়ি। আশা করা যায়, তথ্যচিত্রটির শুভমুক্তির দিনেই প্রকাশিত হবে বইটি।