ইলশেগুঁড়ি ২৯তম সংখ্যা (শারদীয়া)
ইলশেগুঁড়ি ২৯তম সংখ্যা (শারদীয়া)
বিচিত্র সংবাদ সম্প্রচারের আগে সময়ের হাত ধরে ঘুরে আসি নিকোপার্ক।
বাদাম ভাজা আর চায়ের ভাঁড়ে পুরো বইমেলাটাই সাবাড় করে দিই অসংখ্যবার।
দেশপ্রিয় পার্ক, কলেজ স্কোয়ার কিংবা ময়দান,
শব্দরূপ-ধাতুরূপ-সন্ধি-সমাস সবটা সাজিয়ে একটা নতুন ব্যাকরণ বানিয়ে ফেলি নিমেষে।
বাসে ট্রেনে জানলার সিটগুলোতে রঙীন রুমাল রেখে বসি।
দু'টুকরো হওয়ার আগে যতগুলো কাঁচ একসাথে রাখা ছিল,
সেসবে বাষ্প জমে গেছে
তার ফাঁকে উঁকি দিয়ে বুঝি- আমার শহরটুকু হঠাৎ আমি হারিয়ে ফেলেছি।
এটাই নাকি আগাম জানিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর।
তাই, পাখিরা বর্ষার আগে ভিড় করে ফিরেছিল ময়দান চত্বরে
আর আরো ডিঙিগুলো তীরে তুফানের আগে,
ফেরা শুধু হলো না আমার, তাবলে আক্ষেপ নেই কিছু;
তবু বইমেলা এলে বুকে ব্যথা ওঠে,
অষ্টমীর বিকেলে আমি লুকিয়ে থাকি, পালিয়ে যাওয়ার জন্য রাত্রি ভাড়া করি,
যতটা জীবন জুড়ে তুমি লেগে আছো, কানে হাত দিয়ে ছুটি তার চেয়েও দূরে;
নন্দন চত্বরে বসে লিফলেট বিলাই-
যে আমার শহর কেড়ে নিরুদ্দেশ, তার সব বর্ণনা সাজিয়ে রেখেছি।
নিরুদ্দেশ সংক্রান্ত বিশেষ ঘোষণা এখনই শোনানো হবে সমস্ত শহরে...