ইলশেগুঁড়ি ২৯তম সংখ্যা (শারদীয়া)
ইলশেগুঁড়ি ২৯তম সংখ্যা (শারদীয়া)
ক্ষয়ে যাওয়া সন্ধের কাছে অতৃপ্তির কথা জানতে চাইতে নেই,
সব না-পাওয়ারা পাড়ে দাঁড়িয়ে প্রহর গোণে,
অতলান্ত জল একটু একটু করে তাদের বহমানতার গল্প শোনায়,
নিদ্রাহীন দুপুরের গান, কষ বেয়ে অপমানিত জলের গান
অ-চেতনের পূর্বমুহূর্তে প্রিয়মুখ মনে হলে যে আহত চেতনারা
স্রোতের বিপরীতে চলে যেতে চায়, সেইসব
অদৃষ্ট, অতৃপ্ত টান তুমি দেখতে পাও না, আমি তাদের
বড়ো যত্নে শরীরী প্রকোষ্ঠের খোপে খোপে সঞ্চিত করে
জলসিঞ্চন করি, যখন শিশিরের সকল বাষ্প আকাশে
উদ্বায়ী হয়ে ডানা মেলে উড়ে যায়, তখন অনন্ত জলাশয়ই ভরসা,
এই স্রোত কচুরিপানাকে সরিয়ে দেয় জীবন থেকে
সকল নুড়িপাথরকে অনায়াসে অতিক্রম করে আমি স্রোতের
বহমানতার কাছে প্রণত হই, আমার এই দ্রবীভূত ভস্মসকল
তুমি গ্রহণ করো স্রোতস্বিনী, নিরুচ্চার যত লবণ শরীরে ধারণ করে
আমি অক্ষয় অশ্রুত নির্বাক অহল্যায় পরিণত হই….