ইলশেগুঁড়ি সাহিত্য পরিবার
সুস্থ সাহিত্য, শিল্প ও সংস্কৃতির প্রসারে লেখক ও পাঠকের মিলিত প্রচেষ্টায় গৌরবের এক দশক
কবিতার পত্রিকা ‘‘কবিতাব্রত’’
সুস্থ সাহিত্য, শিল্প ও সংস্কৃতির প্রসারে লেখক ও পাঠকের মিলিত প্রচেষ্টায় গৌরবের এক দশক
কবিতার পত্রিকা ‘‘কবিতাব্রত’’
সারারাত্রি ধরে ঝরেছে যে হেমন্তশিশির কখনো স্নেহে,
আর্দ্রতায়, আশ্লেষে, উত্তাপে, হীরককুঁচির মতো তা এখন
ছড়িয়ে আছে সবুজ ঘাসের পাতায় পাতায়, শহরের একমাত্র
পরির ডানায়। যামিনী শেষে শান্ত হরিদ্রাভ নগর
একটু একটু করে জেগে উঠছে ভোরের প্রথম উষ্ণতায়,
অপেক্ষারত কাজের মাসি, পরিচিত সবজিওয়ালা, মাছওয়ালা, কর্তব্যপালনের অতিরিক্ত কিছু নবীন মুখ স্বপ্ন আঁকা,
তবু মোটামুটি একই সিঁড়িভাঙা অঙ্ক প্রতিদিন
এইভাবেই জীবনের অনেকগুলো বসন্ত বাঁধা নিয়মের খাতায়
প্রশ্নহীন আনুগত্যে, তবু এইসব প্রাত্যহিকতা পার হয়ে
কখনো সখনো দুর্বোধ্য এক পরিভাষা, অবিন্যস্ত ছায়ার মতো
লেপটে থাকা এক অবুঝ কাঙাল, যেন এক
অসহনীয় বিভ্রম, না চাইতেই সাজিয়ে দেয়
কিছু ভুল সময়ের মেঘলা বিকেল, অব্যক্ত দহনের
সেইসব কাহিনিমালা নিয়েই আবার নতুন করে বোঝাপড়া,
কখনো চলমানতার কখনো অপারগতার
দ্বিধা ও দ্বন্দ্বের সেই অবিরত টানাপোড়েন, অজস্র
পারমুটেশন ও কম্বিনেশন, দোদুল্যমান জীবন লিখে রাখে
লেনদেনের হিসেব, জলজ প্রতীক্ষাগুলি কখন তরঙ্গ হয়ে যায়
সেইসব নোনাজল শাখাপ্রশাখায় ধারণ করেই মন্থর
কমলারঙা বিকেলে আবার নতুন কবিতা লেখা হয়
ঢেউ আর বালিয়াড়ি, বালিয়াড়ি আর ঢেউ
বৃষ্টি অক্ষরগুলি বাষ্প হয়ে হারিয়ে যায় অনন্ত চরাচরে